অনুশীলনী

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - আমার বাংলা বই - শখের মৃৎশিল্প | | NCTB BOOK

১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।

শখ   টেপা পুতুল   নকশা    শালবন বিহার  টেরাকোটা    মৃৎশিল্প  শখের হাঁড়ি

২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।

শখ        নকশা      মৃৎশিল্প      টেপা পুতুল

ক. এই যে……………………………………… দেখছ, এসবই গ্রামের শিল্পীদের তৈরি।

খ. মাটির পুতুল জমানো আমার একটি……………………………।

গ. মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে…………………………………বলে।

ঘ. আমরা মেলা থেকে অনেক…………………………………কিনলাম৷

৩. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√)  চিহ্ন দিই।

ক. আনন্দপুরে কখন মেলা বসে?

১. ষোলই ডিসেম্বর   ২. পহেলা বৈশাখ

৩. একুশে ফেব্রুয়ারি  ৪. পহেলা ফাল্গুন

খ. মামা কোথায় পড়েন ?

১. ঢাকা কলেজে    ২. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে

৩. ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে    ৪. চট্টগ্রামের চারুকলা ইনস্টিটিউটে

গ. মৃৎশিল্পের সবচেয়ে প্রাচীন উপাদান হচ্ছে -

১. বাঁশ     ২. কাঠ

৩. পানি    ৪. মাটি

ঘ. আমাদের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে –

১. চারুশিল্প   ২. মৃৎশিল্প

৩. কারুশিল্প  ৪. দারুশিল্প

ঙ. কুমার সম্প্রদায় কিসের কাজ করে-

১. বাঁশের কাজ ২. কাঠের কাজ

৩. পাকা বাড়ির কাজ     ৪. মাটির কাজ

চ. গ্রামের শিল্পীরা রং তৈরি করেন—

১. আম ও লাউ পাতা থেকে      ২. শিম ও কাঁঠাল গাছের বাকল থেকে

৩. সরিষা ফুল থেকে           ৪. পান ও চুন থেকে

ছ. পোড়া মাটির ফলকের অন্য নাম-

১. টেপা পুতুল      ২. টেরাকোটা

৩. শখের হাঁড়ি     ৪. মৃৎশিল্প

৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।

ক. মাটির শিল্প বলতে কী বুঝি ?

খ. বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকর্ম কোনটি?

গ. শখের হাঁড়ি কী রকম ?

ঘ. বৈশাখী মেলায় কী কী পাওয়া যায়? মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান কী ?

চ. কয়েকটি মৃৎশিল্পের নাম বলি ।

ছ. টেরাকোটা কী?

জ. বাংলাদেশের কোথায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়?

ঝ. মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়? ঞ. মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি-প্রচলিত এই কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয় ?

৫. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ি এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি ।

যখন কোনো কিছু সুন্দর করে আঁকি বা বানাই অথবা গাই, তখন তা হয় শিল্প। শিল্পের এ কাজকে বলে শিল্পকলা। আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প হচ্ছে মাটির শিল্প। এ দেশের কুমার সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে তৈরি করে আসছে মাটির জিনিস, যেমন- কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠে তৈরির নানা ছাঁচ। আরও কত কী! মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা বলি মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে তাও নয়। এজন্য অনেক যত্ন আর শ্রম দরকার। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ। কারণ তাঁরা বংশ পরম্পরায় এ কাজ করে আসছেন।

ক. শিল্পকলা বলতে কী বোঝ ?

খ. শিল্পের কাজের জন্য কী কী প্রয়োজন ?

গ. কেন কুমারদের কাছে এসব কাজ সহজ ?

৬. নিচের শব্দগুলো দিয়ে যা বুঝি তা লিখি ।

ক. মৃৎশিল্প        খ. শখের হাঁড়ি

গ. টেরাকোটা      ঘ. টেপা পুতুল

৭. নিচের কথাগুলো বুঝে নিই ।

 

 

কান্তজির মন্দির কান্তজির মন্দির ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা রামনাথ রায় দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির নির্মাণ করেন। এ মন্দিরের গায়ে স্থাপিত

 অপূর্ব সুন্দর টেরাকোটা বাংলার মাটির শিল্পের প্রাচীন নিদর্শন ।

 

 

 

 

 

পাহাড়পুর নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন সোমপুর বিহার। এই সোমপুর বিহারের আশ-পাশের বড় বৌদ্ধ মন্দিরে পাওয়া গেছে অনেক সুন্দর টেরাকোটা। এগুলো অষ্টম শতকের অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় বারো শ বছর আগের তৈরি।

 

 

 

 

 

 

 

শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে মাটি খুঁড়ে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন। অষ্টম শতকের এই পুরাকীর্তি বাংলা

দেশের

 প্রাচীন সভ্যতার পরিচায়ক। শালবন বিহারে পাওয়া গেছে নানা ধরনের পোড়ামাটির ফলক।

 

 

 

 

 

 

 

মহাস্থানগড়

বগুড়া শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত মহাস্থানগড়। যিশু খ্রিষ্টের জন্মের পূর্বে তৃতীয় থেকে পরবর্তী পনেরো 

শতকে বাংলার এ প্রাচীন নগর গড়ে ওঠে। মহাস্থানগড়ে পাওয়া গেছে অনেক পোড়ামাটির ফলক,পাত্র, অলংকার ও মূর্তি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৮. কর্ম-অনুশীলন।

 

আমার দেখা কুমারপাড়ার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিই।

আমার দেখা কোনো হস্তশিল্প বা হাতের কাজ সম্পর্কে লিখি।

Content added By
Promotion